রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা:: ব্যাঙ্গের ছাতার গড়ে উঠেছে নারায়নগঞ্জের অলিতে গলিতে বাউল গানের নামে নানা নাসকতা ও অপকর্মের আসর। এ নিয়ে সাম্প্রতিক বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে এবং সাংবাদিকদের ততপরতায় ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিদ্বয়ের নির্দেশনায় অভিযান চালিয়ে বন্ধ করার পরেও বীরদর্পে চালাচ্ছে আসরগুলো। এখন সাধারণ মানুষের প্রশ্ন হচ্ছে এদের খুঁটির জোর কোথায় যে পুলিশ বন্ধ করার পরেও তারা অবাধে আসরগুলো ফের চালাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা এলাকায় বাউল গানের আসর রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক। বেশিরভাগ আসরগুলোর নেপথ্যে রয়েছে বিশেষ পেশার পরিচয়দানকারী ও নেতাদের নাম বিক্রি করা ভুয়া কর্তা ব্যক্তিরা। তাদের ইশারায় চলে অবৈধ বাউল গানের আড়ালে নাসকতা ও অপকর্ম। এ ছাড়াও কিছু প্রভাবশালী ওই সব আসরগুলোতে গিয়ে মেয়ে মানুষ নিয়ে ফূর্তি করার কারনেও আসরগুলো পায় তাদের আশির্বাদ। পাশাপাশি এই আসরগুলোতে যারা গান করে তাদের উপর টাকার ছিটিয়েও মজা নেয় দর্শনার্থীরা। সারারাত চলে মাদক, মদ, জুয়ার আসর ও পতিতাবৃত্তি সহ নানা অপকর্ম।
স্থানীয়রা জানান, এই আসরগুলো গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ শব্দে ডিজে বাজানো হয়। একই সাথে এখান থেকে নারীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা করানো, মাদক সেবন করে মাতলামী সহ মারামারী, চুরি-ছিনতাইকারীদের আড্ডা সহ নানা অপকর্মের সূত্রপাত হয় এই আসরগুলো থেকে। তাই এদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি চেয়েছেন স্থানীয়রা। অসাধু কিছু পুলিশ ও কিছু বিশেষ পেশার পরিচয়দানকারীরা শেল্টার দিচ্ছে বলেই এটা কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না বলেও জানান তারা।
সচেতন মহলের দাবি, এই অবৈধ বাউল গানের আসরের আড়ালে রয়েছে কিছু বিশেষ পেশার পরিচয়দানকারী। তারা থানা পুলিশের সাথে সখ্যতা তৈরি করে এই আসর চালায়। যে কারনে সিনিয়র কেউ বন্ধ করার উদ্যোগ নিলেও পুলিশ আসলেও তা শুধু হয় আই ওয়াশ বলে মনে করেন তারা।
জেলা পুলিশ বলছে, বাউল গানের আড়ালে কোনো অপকর্ম করলে সেগুলো বন্ধ করা হবে। তাছাড়া অভিযান করে বেশ কয়েকটি আসর বন্ধ করা হয়েছে। বাকিগুলাও পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে।